প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’র ৩৪ বছর পর প্রকাশ হল কবি হেলাল হাফিজের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’! পাঠকের দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহরের অবসান হলো এবার। ৩৫ টি কবিতার সাথে রয়েছে করি আঁকা ৩৫টি ছবি।
১৯৮৬ থেকে ২০১৯ মাঝখানের এই দীর্ঘ সময়ে অভিজ্ঞতা কদিয়ে বি বুনেছেন তাঁর দ্বিতীয় কাব্যের পংক্তিমালার জাল। বেদনার নীলে যে কাব্য পেয়েছে নাম ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।
যে জ্বলে আগুন জ্বলে থেকে বেদনাকে বলেছি কেঁদো না, হাতের কর বলছে, এর মাঝে পেরিয়েছে প্রায় ৩ যুগ। অবধারিতভাবেই হৃদয় অলিন্দে প্রশ্ন জাগে বই এর রঙিন মলাটে নিজেকে সঁপে দিতে কেনো এই দীর্ঘ অপেক্ষা।
এরই মাঝে অবশ্য বেরিয়েছে ‘কবিতা একাত্তর’ ও এক জীবনের জন্মজখম’ শিরোনামের দুটি বই, মৌলিক বিচারে কবির কাছে যদিও তা হিসেবের বাইরে। কবির এই দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে দিব্য প্রকাশ থেকে বেদনার যে পংক্তিমালার উৎসর্গপত্রে খোদাই করা আছে মা আর বাবার প্রতি ভালোবাসার নিবেদন।
কাব্যের কাব্যিকতায় হাঁটতে চান কবি। আরো কিছুটা সময় আর এরপরই পা রাখতে চান গদ্যের উঠোনে। যেখানে কালিকলমে আঁকবেন তিনি বর্ণময় জীবনের প্রতিচ্ছবি।
জীবনের খেরোখাতায় কবিতার একজন ফেরিওয়ালা হয়ে আজীবন রয়ে যাবেন হেলাল হাফিজ এমনটাই মনে করেন কবির কাব্য অনুরাগীরা।